L’uomo Che Aveva Paura del Genere Umano (Riassunto)

-“ছেলে-মেয়ে কথা বলা যাবে না কেন? মন ফ্রেশ থাকলেই তো হলো।”
-“গান শোনা যাবে না কেন? গান শুনলে আমার হতাশা কেটে যায়।”
-“সুদ খাওয়া যাবে না? মানে কি! আমি তো কারো ক্ষতি করছি না।”
-“নামায পড়তে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত! তাও আবার মাসজিদে যেয়ে! ঘরেই তো পড়া যায়।”
.
-“হিজাব পড়তে হবে! তাও ঢিলেঢালা। আরবের মেয়েরা লু হাওয়া থেকে বাঁচতে হিজাব পড়তো। আমরা কেন পড়ব?”
-“মেয়েদের ঘরে থাকা উত্তম, এটা ফালতু কথা। বর্তমান সময়ে আমাদের মেয়ে ডাক্তার, মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার, মহিলা পুলিশ দরকার। মেয়েরা ঘর থেকে বের না হলে উন্নতি সম্ভব না।”
.
“খালি হুকুম আর হুকুম। অসহ্য। এসব সেকেলে বিধান!”
.
ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, “সুবহানাল্লাহ! কতো মানুষ ইসলামের নিয়ম-কানুনে বিব্রত হয়। তারা মনে মনে আশা করে, যদি এগুলোর কোন অস্তিত্বই না থাকতো। এ বিধানগুলো তাদের অন্তর জ্বালিয়ে দেয়, শ্বাস রোধ করে দেয়।”
.
 .
শেষ কবে উনি আল্লাহ্‌র কালাম নিয়ে বসেছেন সেটা গবেষণার ব্যাপার। জুমা ছাড়া শেষ কবে মসজিদে গিয়েছেন, সেটা সম্ভবত উনি নিজেও ভুলে গেছেন।
.
কিন্তু দুনিয়ার ব্যাপারে উনি সিরিয়াস। টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারেন না। “এই জীবন আর ক’দিনের, চলুন আমি আর আপনি আখিরাতের ব্যাপারে সিরিয়াস হই” বললেই উনি শুনিয়ে দেন-
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও............”
.
হ্যাঁ ঠিক। আল্লাহ্‌ দুনিয়া আর আখিরাতের কল্যাণের জন্য আমাদের দু’আ করতে বলেছেন। আপনি এর উপরে আমলও করছেন বলে দাবী করেন। আপনার দুনিয়া তো আমি দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনেই। কিন্তু আখিরাত?
-“ডোন্ট জাজ মি। অনলি আল্লাহ্‌ ক্যান জাজ।”
.
হ্যাঁ তাও ঠিক। হয়তো আপনি এইসব কাঠ-মোল্লাদের চেয়ে অনেক উত্তম। আপনার এমন আমল আছে যা আমার জানা নেই। কিন্তু নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন তো, যখন আপনি কথায় কথায় বলেন,
- “তোমার দ্বীন তোমার, আমার দ্বীন আমার।”
- “সমুদয় কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল।”
- “আল্লাহ্‌ আমার অন্তর দেখবেন।”
.
আপনি নিজে কি নিশ্চিত যে আপনি যেভাবে কথাগুলো দেখছেন, কথাগুলো ঠিক সেরকমই। নাকি নিজের মনকে বুঝ দেয়ার জন্য আপনি এমন দ্বীন বানিয়ে নিয়েছেন, যে দ্বীনের সাথে আল্লাহ্‌র দ্বীনের সম্পর্ক নেই। যে দ্বীনে কাফিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা যায়, মুসলিমের মৃত্যুতে হিকমাহ্‌ এর উসীলায় নীরব থাকা যায়, জ্ঞান না থাকা স্বত্তেও কুরআন হাদীসের ব্যাখ্যা দেয়া যায়, বিয়ের আগে পবিত্র(!) প্রেম করা যায়। যে দ্বীনে রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ্‌ মানার প্রয়োজন পড়ে না, আল্লাহ্‌র কালাম সুবিধামতো মানলে চলে আবার না মানলেও চলে।
.
“আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব, আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিবেন।” (৪৭:৯)
 .
একটা ভালো কাজের প্রতিদান না পাওয়াটাই তো কষ্টের। নিজের জীবনের সব ভালো কাজ ব্যর্থ হবার কষ্ট সইবেন কি করে?
 .
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, “আপনি হয়তো এমন মানুষ পাবেন, যারা অজুহাত পেশ করে আর তর্ক করে তাদের ভুলগুলো সঠিক প্রমাণের জন্যে। কিন্তু হৃদয়ের কোনো এক কোণে সে নিজেও জানে যে, সে ভুল করছে।”
.
সময় তো শেষ হয়ে এলো।
 আপনি কাকে ধোঁকা দিচ্ছেন?


writer: Shihab Ahmed Tuhin
Thanked by: Tanvir Hossain