'যিনার অপর নাম পরকীয়া'
আজ কেন জানি মনে হচ্ছে, তসলিমা নাসরিন ও তার অনুসারীগণ তাদের বিষবৃক্ষ সমাজে ছড়াতে সক্ষম হয়েছে ৷ তসলিমা নাসরিনের চরিত্রটাকে যদি টুকরো টুকরো করি তাহলে তার কয়েকটি গুণ আমার চোখে পড়ে ৷ তার মধ্যে একটি গুণ হলো,
১.পশুর ন্যায় অবাধ যৌনতা বা যিনা, পরকীয়া ৷
একটি সমাজ বা রাষ্ট্র ধ্বংস করার জন্য তসলিমা নাসরিনের এই একটি গুণ-ই যথেষ্ট ৷ আপনারা লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়, কিছু অবাধ যৌনতাকামি পশুর পিতৃ পরিচয় নেই ৷ উদাহরণ স্বরুপ বলতে গেলে আমি কুকুর প্রাণীকেই বলবো ৷ কেননা কুকুর অতি পরিচিত প্রাণী ৷ কুকুরের কিন্তু পিতৃপরিচয় নেই ৷ কারণ, কুকুর একটি অবাধ যৌনতার প্রাণী ৷ আপনারা লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না, তবে আমি যা অনুধাবন করেছি সেটা হলো নাস্তিক হতে হলে অন্ধভাবে ইসলামের বিরোধিতা করতে হবে, অবাধ যৌনতার সমর্থন করতে হবে, সমকামি'র সমর্থন করতে হবে, নগ্নতার বিশ্বাসী হতে হবে, যিনা/ব্যভিচার বা পরকীয়ার গুণগান গাইতে হবে ৷
তসলিমা নাসরিন ও তার অনুসারীদের দিকে চেয়ে দেখেন তারা অবাধ যৌনতা বিশ্বাসী ৷ শুধু যে বিশ্বাসী তা নয়, বরং তারা জীবনে অবাধ যৌনতার প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকে ৷ তসলিমা নাসরিন ও কুকুর প্রাণীর মধ্যে তফাৎ হলো এই যে কুকুর অবাধ যৌনতা করে কুকুর ছানার জন্ম দেয় আর ইসলাম বিদ্বেষী উগ্র নারী নাস্তিক তসলিমা নাসরিন মানুষ ছানার জন্ম দেন না ৷ উনি যেটা করেছেন সেটা হলো গর্ভপাত ৷ এটা আমার মুখের কথা নয়, এটা স্বয়ং তসলিমা নাসরিন-ই বলেছেন ৷ সে যদি গর্ভপাত না করে মানুষ ছানার জন্ম দিত তাহলে তার ছানার বাবার পরিচয় থাকতো না ৷ সুতরাং এই সেক্যুলার সমাজ তথা তসলিমা নাসরিনের চেতনা বাস্তবায়ন হলে কুকুরের ন্যায় পিতৃ পরিচয়হীন মানবগোষ্ঠির আর্বিভাব হবে ৷ এটা একদিনে হবে না, ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে ৷ যদিও শুনতে তিক্ত তবুও তো সত্য, একটুও মিথ্যা বলিনি ৷ সব লেখায় আমি সাহিত্য খুঁজি না ৷ সত্যকে তিক্ত ভাষা প্রয়োগ করা আমার কলমের ধর্ম ৷ সেক্যুলার সমাজ পিতৃ পরিচয়হীন মানবগোষ্ঠির খেতাব অর্জনের প্রথম ধাপ সাফল্যর পথে ৷ প্রথম ধাপ পরকীয়া ৷ আজ সমাজে পরকীয়ার চেতনা চুঙ্গে ৷ স্বামী বা স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া'কে সাহসী কাজ বলে অলরেডি সেক্যুলার সমাজ প্রচার করছে ৷ পরকীয়াকে প্রকাশ্য সমর্থন জানাচ্ছে এই সেক্যুলার জীবগোষ্ঠী ৷ পরকীয়ার গুণগান গেয়ে রীতিমত ঢোল পিটাচ্ছে তারা ৷ নতুন প্রজন্মকে আকারে ইঙ্গিতে, রুপকে বোঝানো হচ্ছে আসলে বিবাহ বহিভুর্ত যৌন সম্পর্ক দোষের নয় বরং মনের প্রশান্তি জোগায় ৷ ঠিক এই চেতনা চুঙ্গে উঠতে খুব দেরি হবে না ৷ তখন পিতৃ পরিচয়হীন এক পতিতালয় হিসেবে খেতাব অর্জন করবে আজকের বাংলাদেশ ৷ প্রতিনিয়ত পরকীয়ার জেরে স্ত্রী, স্বামীকে হত্যা করছে, স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করছে ৷ আবার বাবা-মায়ের পরকীয়ার বলি হচ্ছে তাদের সন্তান ৷ পরকীয়া যে কতটা ভয়াবহ তা সামনে আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবো ৷ আমার অন্তরে একটি শব্দ প্রতিনিয়ত প্রতিধ্বনি হচ্ছে, সেটা ইসলামী অনুশাসন ৷ আমি অলরেডি বুঝে ফেলেছি, মহান আল্লাহ কেন পরকীয়ার (যিনা/ব্যভিচার) শাস্তি মৃত্যদন্ড দিলেন !! আমাদের দেশের মিডিয়ার জেনেটিক দোষ আছে ৷ আপনি দেখবেন, মিডিয়ার সামনে বা সিনেমার পর্দায় কোন নারী উলঙ্গ হয়ে দেহ পদর্শন করলে মিডিয়া তাকে সাহসী নারী বলে ঢোল পেটায় ৷ আমাদের দেশের মিডিয়া দেহ বিক্রিতাকে সাহসী বলে প্রচার করে ৷ তারা নিখুঁত ভাবে নতুন প্রজন্মকে নগ্নতা শেখাচ্ছে ৷ এটা বুঝতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হবার প্রয়োজন নেই ৷
আগামীতে 'তসলিমা পক্ষ' হয়ে শাহবাগ থেকে আন্দোলন করা হবে 'সমকামি ও পরকীয়া'র বৈধতা চেয়ে তারও কিছু বছর পর জীবকামির বৈধতা চেয়ে শাহবাগের মাটির বাকলা তুলে ফেলবে চেতনাধারীরা ৷ নাস্তিক নারীরা কুকুর প্রাণীকে বিয়ে করবে যৌন সঙ্গমের জন্য ৷ আর আমাদের চেতনার মিডিয়া সেটাকে নিয়ে প্রেমকাব্য রচনা করবে ৷ জনগণের বোঝানো হবে আর খবরের কাগজে হেডলাইন হবে
'আহ অবলা প্রাণীকে বিয়ে করে উদারতার পরিচয় দিলেন'
সেটা প্রচার করার জন্য আমাদের 'প্রথম আলো' আছে, আছে আনিসুল হক ও জাফর স্যারের মতো অনেক লেখক ৷ আমি আগেও বলেছি 'সত্য সে তো তিক্ত' ৷ এই চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য এক দল ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী রাস্তা ব্লক করে গলা ফাটাবে ৷ আমার কষ্ট লাগে তখন যখন শুনি কিছু গুণধর জ্ঞাণপাপী যিনা/ব্যভিচারের নাম দিয়েছে পরকীয়া প্রেম ৷ আহ ! যিনা'কে প্রেম বানিয়ে হালাল করে ফেলেছে ৷ আসো সবাই দু-গ্লাস ঢক ঢক করে মেরে দাও ৷ এই দেশ অচীরেই ধ্বংস হবে ইসলামের অনুশাসনের অভাবে ৷ দুঃখের সাথে বলতে হয়, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর কিছু কিছু নেতা-নেত্রী আছে তারা প্রকাশ্য সেক্যুলার সমাজের পশুত্ব চরিত্রে আকৃষ্ট ৷ তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেক্যুলার সমাজের পরিচালনা করছে ৷ ইসলাম ধর্মের প্রতি তাদের উদাসীনতাই দায়ী ৷ এই নেতা-নেত্রী সেক্যুলার সমাজ'কে উস্কে দিচ্ছেন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ করতে ৷ একটি রাষ্ট্রের ভূগর্ভ থেকে ইসলাম ধ্বংস করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষী কোন চক্র দীর্ঘমেয়াদী প্লান হাতে নিয়ে বসেন ৷ বাংলাদেশ আজ কু-চক্রদের কু-নজরে আক্রান্ত ৷ তারা আজ সফলও বটে ৷ তাদের মূল টার্গেট ইসলাম ৷ বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে উৎচ্ছেদ করতে অবাধ যৌনতা ও নগ্নতা জরুরি ৷ সে জন্য পশ্চিমা বিশ্বের নোংরা দুর্গন্ধময় সংস্কৃতি এ দেশে আমদানি করছে ৷ নতুন প্রজন্মের যুবক ও যুবতী সে গুলো বেশ হজমও করছে ৷ ভবিষ্যতে 'আদিম দিবস' নামে একটি দিবসের জন্ম হবে ৷ যে দিবসকে কেন্দ্র করে কিছু চেতনাধারী নাস্তিক যুবক ও যুবতী উলঙ্গ হয়ে দৌড়াবে ঢাকা শহরের অলি গলিতে ৷ আর চেতনার বাণী শুনাবে এভাবে, 'আমরা উদার, আমরা আদিম মানুষের স্মরণে বছরের একটি দিন আদিম মানুষের মতো বস্ত্রহীন হয়ে তাদের দুঃখ বোঝার চেষ্টা করি' ৷ সেই চেতনা ধাঁপুস ধুঁপুস গিলেও খাবে চেতনাধারী নতুন প্রজন্ম ৷ কেননা, মুসলীম শাষিত স্পেনে ১৪৯২ সালে ১লা এপ্রিলে খ্রিষ্টান রাণী ইসাবেলা তার সৈন্যদল নিয়ে মুসলীমদের চতুর দিক থেকে ঘিড়ে ফেলেছিল এবং ঘোষণা দিয়েছিল মুসলীমরা যেন মসজিদে আশ্রয় নেয় ৷ মসজিদে আশ্রয় নিলে তারা নিরাপদ ৷ রাণী ইসাবেলার এই ঘোষণা'কে বিশ্বাস করে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল সেদিন ৷ মুসলীমদের সরলতার সুযোগ নিয়ে মসজিদের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে লক্ষ লক্ষ মুসলীমকে আগুনে পুড়িয়ে, নির্বিচারে হত্যা করেছিল ৷ ঐ বর্বর দিনটি ছিল ইংরেজী বর্ষের চতুর্থ মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা এপ্রিল ৷ Fool শব্দের অর্থ বোকা ৷ মুসলীমরা মসজিদে আশ্রয় নেবার কারণে তাদের নিধন করতে সহজ হয়েছিল সেদিন ৷ রাণী ইসাবেলা উল্লাস করে বলেছিল 'মুসলীমরা বোকা জাতি' ৷ সেই থেকে তারা পালন করে এপ্রিলের ১লা 'ফুল ডে' অর্থাৎ এপ্রিলের বোকা দিবস ৷ অথচ আমাদের দেশের চেতনাধারী যুবক ও যুবতী ঐ হৃদয়বিদারক ১লা এপ্রিল'কে 'গোলাপ ফুল দিবস' বানিয়ে ফেলেছে ৷ এ দিনকে কেন্দ্র করে পার্কে চলে ফুল আর টব, টব আর ফুল আদান প্রদান ৷
রাষ্ট্র যখন পশ্চিমা বিশ্বের অপসংস্কৃতির বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে না, ইসলামকে নিয়ে সেক্যুলার সমাজের নগ্ন মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে না, যিনা/ব্যভিচারের ইসলামিক আইনের আশ্রয় নিচ্ছে না তখন আমরা নীরবে বসে থাকতে পারি না ৷ সেক্যুলার সমাজের প্রতিপক্ষ হয়ে কলম যোদ্ধাদের জাগ্রত হতে হবে ৷ ইসলাম ধর্ম নিয়ে সেক্যুলার সমাজের মিথ্যাচারের জবাব দিতে হবে ৷ নতুন প্রজন্মকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে ৷ আলহামদুলিল্লাহ ৷ নাস্তিকদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের জবাবে সম্প্রতি আমার 'লজ্জা' বইটা দাঁড়িকমা প্রকাশনী প্রকাশ করেছে ৷ ডিসেম্বরে ইনশাআল্লাহ প্রকাশ হবে 'শনি সাহেব অসুস্থ' গ্রন্থটি ৷ প্রকাশক ও লেখকের উৎসাহ দিতে PDF নয়, বই সংগ্রহ করুণ ৷ সত্যর পথে থাকুন ৷ সত্য, তিক্ত হলেও বলুন ৷ নিজের ঘর পরিছন্ন রাখুন ৷ ইনশাআল্লাহ পরিছন্ন একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব ৷
Writter: Kamarul Ahamad
Thanked By: Tanvir Hossain
Comments